ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপায়।ফর্সা হওয়ার জন্য লেবুর ব্যবহার।
ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপায়।ফর্সা হওয়ার জন্য লেবুর ব্যবহার।
আমরা জন্মগত ভাবে সবাই ফর্সা হই না।কেউ কালো কেউ শ্যামলা অবার কেউ ফর্সা হয়ে থাকি। আবার অনেকে ফর্সা হলেও বাহিরের ধুলাবালি, সূর্যের অতি বেগুনীরশ্নির প্রভাব এবং যন্তের অভাবে আমরা কালো হয়ে পড়ি।তাই ফর্সা হওয়ার জন্য বিভিন্ন কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম ও ফেসওয়াস ব্যবহার করে থাকি। কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম ও ফেসওয়াস ব্যবহার করে সাময়িকভাবে ফর্সা হলেও তা স্থায়ি হয় না।পরবতিতে বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি ত্বক আগের চাইতে খারাপ হয়ে যায়। মানুষের ত্বকের রং ফর্সা ও কালো হওয়ার জন্য দায়ি মেলানিন। যাদের ত্বকে মেলানিন বেশি পরিমাণ থাকে তারা বেশি কালো হয় এবং যাদের ত্বকে মেলানিন কম পরিমাণ থাকে তারা ফর্সা হয়। তাই আমাদের ফর্সা হতে চাইলে ত্বকে মেলানিনের পরিমান কমাতে হবে। তাই এখন কিছু প্রাকৃতিক উপায় বলবো যা মেনে চললে আপনি মেলানিনের প্রভাব কমিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই ফর্সা ও আকষণীয় ত্বক পেতে পারেন।
১.ফর্সা হওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজন হবেঃ
তাজা লেবুর রস
আপনি যেসকল স্থান ফর্সা করতে চান সেখানে
তাজা লেবুর রস লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা
করুন।এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
প্রতিদিন একবার করে এটি ববহার করুন।
লেবুর রসে ভিটামিন সি আছে যা ত্বক উজ্জ্বল
করার জন্য সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক
প্রতিকার কারণ এতে ত্বক উজ্বল করার
শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান যা
প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে।
এটি যে কোন দাগ এবং কালো দাগ
কমাতেও সাহায্য করে। তাজা লেবুর রস
লাগানোর পাশাপাশি প্রতিদিন ১ গ্লাস করে
লেবুর শরবত পান করুন তাহলে আপনার
চেহারায় উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে এবং আপনি
অনেক উজ্বল আর ফর্সা হয়ে যাবেন।
এই সময় নিজেকে সূর্যের আলো হতে দুরে
রাখুন। লেবু ক্ষত এবং কাটাতে জ্বালা সৃষ্টি
করতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকের লোকেদের
জন্য, এটি ব্যবহার করার আগে সমপরিমাণ
জলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পাতলা
করে নিয়ে ববহার করুন।
২.ফর্সা হবার জন্য আপনার প্রয়োজন হবেঃ
১ টেবিল চামচ দুধ
১ চা চামচ মধু
দুধ ও মধু মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি
করে আলতোভাবে ঘসে সারা মুখে লাগান এবং
এটি ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। ১৫ মিনিট
পর পানি দিয়ে ভালোবাবে ধুয়ে ফেলুন।
দুধে থাকা প্রাকৃতিক এনজাইমগুলি আপনার
কালো রং কে হালকা করে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে।
দুধ ও মধু আপনার ত্বকে পুষ্টি জোগায় সুস্থ
রাখে এবং ত্বক নরম, কোমল ও উজ্জ্বল করে।
তৈলাক্ত ত্বক হলে কম চর্বিযুক্ত দুধ এবং
শুষ্ক ত্বক হলে ফুল ক্রিম দুধ ব্যবহার করুন।
৩.ফর্সা হবার জন্য আপনার প্রয়োজন হবেঃ
১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
৩ চা চামচ লেবুর রস
আপনি যেসকল স্থান ফর্সা করতে চান সেখানে সহ
হলুদ গুঁড়ো এবং তাজা লেবুর রস মিশিয়ে
পেস্ট তৈরি করে আলতোভাবে ঘসে সারা মুখে
লাগিয়ে ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন।১৫
মিনিট পর পানি দিয়ে ভালোবাবে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে 2-3 বার এভাবে প্রয়োগ করুন।
এটি এমন একটি উপাদান যা আমাদের
পূর্বপুরুষরা ব্যবহার করে ছিল এবং এখনও
এটি ফর্সা ত্বকের জন্য সেরা ঘরোয়া প্রতিকার
হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে।হলুদ ত্বকের ভাজ
পড়া রোধসহ ত্বককে সমান এবং উজ্জ্বল করে।
এটি মুক্ত রেডিক্যাল গুলিকে ধ্বংস করে
ত্বককে মসৃণ করে।
সংবেদনশীল ত্বকের লোকেরা সামান্য পরিমাণ
পানি দিয়ে প্যাকটি পাতলা করে ব্যবহার
করবেন। এই প্যাকটি ব্যবহার করার সময়
সতর্ক থাকুন কারণ হলুদ ব্যবহারের কারনে
আপনার কাপড়ে দাগ লেগে যেতে পারে।
৪.ফর্সা হবার জন্য আপনার প্রয়োজন হবেঃ
১টি ডিম
একটি ডিম নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে তুলতুলে এবং
ফেনাযুক্ত হওয়া পর্যন্ত বিট করুন। এটি
আপনার মুখে প্রয়োগ করে সম্পূর্ণরূপে শুকানো
পর্যন্ত রাখুন। ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ডিমের গন্ধ কমাতে লেবুর রস বা দুই ফোঁটা
ল্যাভেন্ডার অয়েল যোগ করতে পারেন।
আপনি সপ্তাহে দুইবার পর্যন্ত এই প্যাকটি
লাগাতে পারেন।
ডিমের সাদা অংশগুলি আপনার ত্বককে উজ্জ্বল
করে তুলবে এবং কুসুমের অংশগুলি ত্বককে
মসৃণ এবং নরম করে তুলবে।
৫.ফর্সা হবার জন্য আপনার প্রয়োজন হবেঃ
১-২ টমেটো
২ চা চামচ লেবুর রস
একটি ব্লেন্ডারে, টমেটো এবং লেবুর রস নিয়ে
ভালো করে ব্লেন্ড করে মসৃণ পেস্ট তৈরি
করুন।এই পেস্টটি আপনার সারা মুখে ২০
মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখুন।পরবতিতে ঠান্ডা
জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন গোসল করার
আগে এই পদ্ধতিটি পুনরাবৃত্তি করুন।
টমেটোতে লাইকোপিন রয়েছে যা তাৎক্ষণিকভাবে
পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে, এটি
ত্বককে উজ্জ্বল করার ঘরোয়া প্রতিকার
হিসেবে অন্যতম। এই ফেস প্যাকটি ত্বকের টোন
হালকা করবে, ট্যান কমাবে এবং মৃত কোষ
দূর করবে। ফলে আপনি পাবেন আকষণীয় ও
উজ্বল ত্বক।
এই প্যাক গুলোর যে কোন একটি ব্যবহার করার
পাশাপাশি যে কাজ করতে হবেঃ
- প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন।
- কোন ভাবেই বেশি রাত জাগবেন না।
- সুযের রশ্নি বা রোদ এরিয়ে চলুন।
- মানুষিক দুশঃচিন্তা পরিহার করুন।
- ত্বকে অতিরিক্ত ঘষাঘষি করবেন না।