সোনালি মুরগির ঔষধের তালিকা ১-৬০ দিন পর্যন্ত
সোনালি মুরগির ঔষধের তালিকা ১-৬০ দিন পর্যন্ত
মুরগি পালন একটি লাভজনক ব্যবসা।সঠিক জৈব নিরাপত্তা, খামার ম্যানেজমেন্ট ও মুরগির ভালো পরিচর্যা করলে মুরগির গ্রোথ ভালো থাকে। অর গ্রোথ ভালো থাকলে একজন খামারি লাভবান হতে পারবেন এটাই স্বাভাবিক। তাছারা সঠিক মাত্রায় সময়মত সঠিক ঔষধ প্রয়োগ করলে মুরগি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ওজন ভালো থাকে। সোনালি মুরগি, সোনালি ক্লাসিক মুরগি ও সোনালি হাইব্রিড মুরগিকে কখন কোন ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে তাই জেনে নেব।
নির্ভরযোগ্য ভালো হ্যাচারি থেকে সুস্থ্য ও সবল বাচ্চা শেডে আনার পর ব্রুডারে ছেরে দিয়ে প্রথম ২ ঘন্টা বাচ্চাকে লেবু পানি/ইলেকট্রোলাইট খাওয়াতে হবে। এতে বাচ্চা ধকল কেটে স্বস্থি বোধ করবে। এরপর যথারিতীঃ
১ম, ২য় ও ৩য় দিন সকালের পানিতে সেফালেক্সিন/ডক্সিসাইক্লিন গ্রুপের ঔষধ দুপুরের পানিতে যে কোন ভালো মাল্টিভিটামিন এবং রাতের পানিতে পুনরায় সেফালেক্সিন/ডক্সিসাইক্লিন গ্রুপের ঔষধ দিতে হবে।
৪র্থ দিন সকাল, দুপুর ও রাতের পানিতে ভিটামিন বি প্লাস ভিটামিন সি কমপ্লেক্স দিতে হবে।
(ভিটামিন বি বাচ্চার পায়ের দুর্বলতা বা প্যারালাইসিস হতে নিরাপদ রাখবে এবং ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বারাবে)
৫ম দিন সকালের পানিতে এডিই দুপুরে শুধু সাদাপানি এবং রাতে রাণীক্ষেতের ভ্যাক্সিন (১ চোখে ১ ফোটা) পানিতে এডিই দিতে হবে।
ভ্যাক্সিনের সময় এডিই খাওয়ালে ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা বেশি হয়।
৬ষ্ট, ৭ম ও ৮ম দিন সকালে লিভারটনিক দুপুরে সাদাপানি ও রাতে জিংক দিতে হবে।
৯ম দিন সকাল, দুপুর ও রাতে শুধু সাদাপানি দিতে হবে।
১০ম দিন সকালের পানিতে এডিই দুপুরে শুধু সাদাপানি এবং রাতে গাম্বুরো ভ্যাক্সিন (১ চোখে ১ ফোটা বা পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে) পানিতে এডিই দিতে হবে।
১১তম, ১২তম ও ১৩তম দিন সকালে পিএইস দুপুরে সাদাপানি ও রাতে ক্যালসিয়াম দিতে হবে।
১৪তম, ১৫তম ও ১৬তম দিন সকাল, দুপুর ও রাতের পানিতে এমোক্সিসিলিন দিতে হবে।
১৪-১৫-১৬তম দিনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুরগির পায়খানায় সমস্যা আসে তাই এমোক্সিসিলিন এর পাশাপাশি প্রতরোধ হিসেবে আমাশয়ের ডোজ করে নেয়া ভালো।
১৭ম দিন সকালের পানিতে এডিই দুপুরে শুধু সাদাপানি এবং রাতে গাম্বুরো ভ্যাক্সিন (১ চোখে ১ ফোটা বা পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে) পানিতে এডিই দিতে হবে।
১৮তম দিন সকাল, দুপুর ও রাতে শুধু সাদাপানি দিতে হবে।
১৯তম ও ২০তম দিন সকালে পিএইস দুপুরে সাদাপানি ও রাতে জিংক দিতে হবে।
২১তম দিন সকালের পানিতে এডিই দুপুরে শুধু সাদাপানি এবং রাতে রাণীক্ষেতের ভ্যাক্সিন (১ চোখে ১ ফোটা বা পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে) পানিতে এডিই দিতে হবে।
২২তম ও ২৩তম দিন সকাল, দুপুর ও রাতে শুধু সাদাপানি দিতে হবে।
২৫তম, ২৬তম ও ২৭তম দিন সকালের পানিতে লিভারটনিক দুপুরে সাদাপানি ও রাতে এনজাইম দিতে হবে।
২৮তম দিন শুধু সাদাপানি এবং ঠোট কাটার পর ভিটামিন কে দিতে হবে।
২৯তম দিন সকালে সাদাপানি, দুপুরে ভিটামিন কে ও রাতে শুধু সাদাপানি দিতে হবে।
৩০তম, ৩১তম ও ৩২তম দিন সকাল, দুপুর ও রাতের পানিতে সিপ্রোফ্লক্সাসিন দিতে হবে।
৩০-৩১-৩২তম দিনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুরগির পায়খানায় সমস্যা আসে তাই সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর পাশাপাশি পুনরায় প্রতিরোধ হিসেবে আমাশয়ের ডোজ করে নেয়া ভালো।
৩৩তম ও ৩৪তম দিন সকাল, দুপুর ও রাতে শুধু সাদাপানি দিতে হবে।
৩৫তম, ৩৬তম ও ৩৭তম দিন সকালে জিংক দুপুরে সাদাপানি ও রাতে ক্যালসিয়াম দিতে হবে।
৩৮তম ও ৩৯তম দিন সকাল, দুপুর ও রাতে শুধু সাদাপানি দিতে হবে।
৪০তম, ৪১তম ও ৪২তম দিন সকালের পানিতে পিএইস দুপুরে লেবু পানি/ইলেকট্রোলাইট ও রাতে টক্সিন বাইন্ডারের ভালো ঔষধ দিতে হবে।
৪৩তম ও ৪৪তম দিন সকাল, দুপুর ও রাতে শুধু সাদাপানি দিতে হবে।
৪৫তম, ৪৬তম ও ৪৭তম দিন সকালে লিভারটনিক দুপুরে সাদাপানি ও রাতের পানিতে জিংক দিতে হবে।
৪৮তম, ৪৯তম ও ৫০তম দিন সকাল, দুপুর ও রাতে শুধু সাদাপানি দিতে হবে।
৫১তম, ৫২তম, ৫৩তম, ৫৪তম ও ৫৫তম দিন সকাল ও দুপুরে শুধু সাদাপানি এবং রাতে ভালো মানের গ্রোথ প্রমোটর দিতে হবে।
৫৬তম, ৫৭তম ও ৫৮তম দিন সকালে জিংক দুপুরে সাদাপানি ও রাতে ক্যালসিয়াম দিতে হবে।
৫৯তম ৬০তম দিন বা বিক্রির আগ পর্যন্ত সাদাপানি বা গ্রোথ প্রমোটর দিতে পারেন।
সতর্কতাঃ আপনার পালনকৃত মুরগির মাঝে কোন অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে একজন ভালো ভেট. ডাঃ এর প্রেশক্রিপশান ও পরামর্শ অনুযায়ি ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
আরো যা যা পড়তে পারেনঃ
মুরগির রক্ত আমাশয় কারন লক্ষন প্রতিরোধ ও চিকিৎসা।
মুরগির ঠান্ডালাগা রোগের কারন, লক্ষন ও চিকিৎসা পদ্ধতি।
মুরগির ভ্যাকসিনেশন। দেশি, সোনলি, লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগির টিকাদান কর্মসূচি।
ব্রয়লার মুরগির ঔষধের তালিকা। ব্রয়লার মুরগির দ্রুত বৃদ্ধির ঔষধের তালিকা ও কৌশল।