মুরগির রক্ত আমাশয় কারন লক্ষন প্রতিরোধ ও চিকিৎসা।
মুরগির রক্ত আমাশয় কারন লক্ষন প্রতিরোধ ও চিকিৎসা।
মুরগির রক্ত আমাশয় বা ককসিডিওসিস একটি প্রটোজোয়াজনীত পরজীবী রোগ । আইমেরিয়া গণের বিভিন্ন প্রজাতির প্রোটোজোয়া থেকে এ রোগ সৃষ্টি হয় থাকে। গৃহপালিত প্রায় সব প্রজাতির পাখিই এ রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। অল্প ও বাড়ন্ত বয়সের মুরগি বিশেষকরে ৫-৭ সপ্তাহের েোরগ মুরগিতে এ রোগে বেশি হয়ে থাকে। বয়স্ক মুরগির চাইতে বাচ্চা মুরগিতে এ রোগের ভয়াবহতা বেশি থাকে। মুরগির রক্ত আমাশয় বা ককসিডিওসিস িএ আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৭০%-৮০% হারে মৃত্যু হত পারে। তাই এ রোগটিকে কোন ভাবেই অবহেলা করা যাবে না।
মুরগির রক্ত আমাশয় বা ককসিডিওসিস এর কারনঃ
- আইমেরিয়া গণের বিভিন্ন প্রজাতির প্রোটোজোয়া থেকে এ রোগ সৃষ্টি হয়
- আদ্রতা বেশি থাকলে ও লিটার ভেজা, সেতসেতো হলে এ রোগ বেশি দেখা দেয়।
- পায়খানার মাধ্যমে জীবাণু খাদ্য, পানি ও লিটারে ছরিয়ে পরে।
- এই দূষিত খাদ্য-পানীয় ও লিটার এর মাধ্যমে সুস্থ মুরগিতে এ রোগে ছরিয়ে পড়ে।
- কম জায়গায় একসাথে অধিক মুরগি লালন-পালন করলে।
- মুরগির এক গ্রাম বিষ্ঠায় প্রায় ৭০ হাজার কক্সিডিয়ার জিবানু থাকতে পারে।
- সারা বছরই এ রোগটি দেখা গেলেও বর্ষাকালে এর প্রার্দুভাব সবচাইতে বেশি থাকে।
মুরগির রক্ত আমাশয় বা ককসিডিওসিস এর লক্ষনঃ
- মুরগি পাতলা পায়খানা করে।
- পাতলা পায়খানার সাথে রক্ত নির্গত হয় বলে একে রক্ত আমাশয় বলা হয়।
- মুরগির পালকগুলো উস্কোখুস্কো হয়ে যায়।
- ঝেুটির রং ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
- মুরগি মাথা নিচু করে ঝিমাতে থাকে।
- মৃত্যুর আগেমুরগি লিটারে শুয়ে পড়ে এবং ৩-৪ ঘন্টা এ অবস্থায় থেকেই পরে মারা যায়।
- রোগের পাদুভ্রাব তীব্র হলে লিটারে তাজা রক্ত পরে থাকতে দেখা যায়।
- খাদ্য ও পানি পানে অনিহা দেখাবে।
- মুরগি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
- আক্রান্ত মোরগ-মুরগির দেহ গোল হয়ে বলের আকার ধারন করে থাকে।
- পেট ব্যথার কারণে আক্রান্ত মোরগ- মুরগি ঠোকরা ঠুকরি করতে পার্
- এ রোগের ফলে ওজন কমে যায়।
মুরগির রক্ত আমাশয় বা ককসিডিওসিস এর প্রতিরোধঃ
- মুরগির লিটার সর্বদা শুষ্ক রাখতে হবে ।কোন ভাবেই ভিজা বা সেতসেতো লিটার রাখা যাবে না্। খাদ্য ও পানির পাত্র নিয়মিত জীবানুনাশক করতে হবে।
- খাবার পাাত্র পিঠ ও পানির পাত্র মোরগ– মুরগির চোখ বরাবর রাখা, যেন খাবার ও পানির পাত্র পায়খানার সংস্পর্শে না আসে। আক্রান্ত মোরগ- মুরগির বিষ্টা দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে যেন সুস্থগুলো এ বিষ্টার সংস্পর্শে না আসে।
- ছোট বড় মোরগ-মুরগি একই সাথে পালন করা যাবে না।
- অধিক ঘন করে মুরগি পালন না করা।
- খাদ্যে কক্রিডিওস্ট্যাট ব্যবহার করেও রক্ত আমাশয় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
- নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।যেনো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- পুরাতন লিটার সম্পূর্ন ফেলে না দিয়ে ১০%-১৫% পুরাতন লিটার নতুন লিটারে মিশানো উত্তম।
- খামারে জৈব নিরাপত্তা মেনে চলতেহ হবে।
মুরগির রক্ত আমাশয় বা ককসিডিওসিস এর চিকিৎসাঃ
মুরগির রক্ত আমাশয় বা কক্সিডিওসিস প্রতিরোধে (চিকিৎসা) অনেক ধরনের মেডিসিন বাজারে পাওয়া যায়।রোগের ধরন ও তীব্রতা বিবেচনাপুর্বক এম্প্রোলিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড, টল্ট্রাজুরিল, সালফানামাইড ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান ডাঃ এর সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে।
ব্রয়লার মুরগির রক্ত আমাশয় ও গামবোরো রোগের বন্ধনঃ
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ব্রয়লার মুরগির রক্ত আমাশয় হলে সেই সাথে গামবোরো রোগও হয়ে থাকে। তাই মুরগির রক্ত আমাশয় এর চিকিৎসা দিলেও মুরগির মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে মুরগির পোস্টমর্টেম করে রোগ নির্নয় পূর্বক চিকৎিসা দিতে হয়। এ সকল সমস্যায় মুরগির রক্ত আমাশয় রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি গামবোরো রোগের ঔষধ বা চিকিৎসা দিতে হয়।তাছাড়া মুরগির মৃত্যুহার ঠেকানো যায় না।
আরো যা যা পড়তে পারেনঃ