গরুর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির পদ্ধতি। গাভীর দুধ বৃদ্ধি করার উপায়।


 গরুর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির পদ্ধতি বা গাভীর দুধ বৃদ্ধি করার উপায়।

গরুর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির পদ্ধতি


দুধ পুষ্টিগুন সম্পুর্ণ একটি খাবার পাণীয় যাতে খাদ্য উপাদানের সকল কিছুই বিদ্যমান। একটু সচেতনতা আর কিছু কৌশল অবলম্বন করলে দরুর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। একটি ভালো জাতের সুস্থ্য সবল গাভী থেকে বেশি দুধ পাওয়া যায়। তারপরেও কিছু নিয়ম আর কৌশল অবলম্বন করলে স্বাভাবিকের চাইতে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করা য়ায়। 

গরুর দুধ বৃদ্ধি করার উপায় সম্পর্কে নিন্মে কিছু নিয়ম আর কৌশল উল্লেক্ষ করা হলোঃ
  • বাছূর জন্সের কমপক্ষে ২-৩ মাস পূর্ব থেকেই গাভীর প্রতি যন্তশীল হতে হবে। এ সময় থেকেই গাভীকে পুষ্টিগুন সম্পূর্ণ খাবার পরিবেশন করতে হবে।
  • গোয়ার ঘর নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্য রাখতে হবে। ভেজা স্যাতসেতো জায়গায় গাভীকে রাখা যাবে না। গোয়াল ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। 
  • গরমের দিন হলে গাভীকে নিয়মিত প্রতিদিন গোসল করাতে হবে। আর শীতের দিন তা সম্ভব না হলেও কুসুম গরম পানি দিয়ে ব্রাশের সাহায্যে সমস্ত শরির পরিস্কার করতে হবে। এতে গাভীর রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে যা দুধ উৎপাদনে সহায়ক।
  • গাভীকে দুই বেলা পুষ্টিগুন সম্পূর্ণ দানাদার খাবার এবং পর্যাপ্ত পরিমানে কাচাঘাস খাওয়াতে হবে।কাচাঘাস না পাওয়া গেলে ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র বা ইউ এম এস / পক্রিয়াজাতকরন খড় খাওয়াতে হবে। কারন ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র বা ইউ এম এস খাওয়ানোর ফলে গাভীর দুধ উৎপাদন অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। 
  • ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র বা ইউ এম এস তৈরিকরণ ও গাভীকে খাওয়ানোর নিয়ম জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করে জেনে নিতে পারেন।

  • গাভীর সামনে পরিস্কার পাত্রে সবসময় পানি রাখতে হবে যাতে গাভী ইচ্ছেমত পানি পান করতে পারে। পানি দেহের মেটাবলিজম ঠিক রাখে। দুধে ৮৭% পানি থাকে তাই গাভী পর্যাপ্ত পানি পান করলে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
  • প্রতিদিন নিয়ম করে একই সময়ে দুধ দোহন করতে হবে। কারন এটা আজ প্রমাণিত যে প্রতিদিন নিয়ম করে একই সময়ে দুধ দোহন করলে দুধ উৎপাদনের হার বৃদ্ধি পায়।তবে  দুধ উৎপাদনের মাত্রা অনুযায়ি দিনে দুধ দোহনের সময় ২-৩ বারও হতে পারে। এক্ষেত্রে সকালে আর বিকালে দুধ দোহন করলে ভালো হয়।
  • প্রতিদিন একই ব্যাক্তি দুধ দোহন করলে দুধ উৎপাদনের হার বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন সময় ভিন্ন ব্যাক্তি দুধ দোহন করলে দুধ উৎপাদনের হার কমতে পারে কারন এক্ষেত্রে গাভী বিরক্তবোধ করে যা দুধ উৎপাদনের হার কমিয়ে দিতে পারে।
  • দুধ দোহনের সময় কোলাহল মুক্ত শান্ত পরিবেশে দুধ দোহন করতে হবে।এ সময় গাভীকে দানাদার খাবার খেতে দিলে গাভীর মনোযোগ খাবারের দিকে থাকে ফলে দুধের নিঃসরন ভালো হয়।
  • গাভীকে দীর্ঘ্য বিরতি দিয়ে বাচ্চা প্রসব করালে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। তাই গাভীকে  কোনক্রমেই দুই মাসের আগে প্রজনন করানো যাবে না। 
আরো যা যা পড়তে পারেনঃ
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url