ইনকিউবেটর চালানোর ক্ষেত্রে যেসব ভুলে ভ্রুণ নষ্ট হয়।
ইনকিউবেটর সঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারলে ইনকিউবেটরের মধ্যে থাকা ডিম হতে বাচ্চা বের হয় না আবার কোনক্রমে বাচ্চা বের হলেও দূর্বল, বিকলাঙ্গ হয়। তাই আজ লিখতে বসে গেলাম ইনকিউবেটর যেভাবে পরিচালা করলে আপনি সফল হবেন। উর্বর বীজ ডিম (অর্থাৎ যে ডিমে মোগরের বীজ থাকে) হলে তাপমাত্র ও আদ্রতা ঠিক থাকলে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক। তথাপি আমাদের কিছু কিছু ভুলের কারনে আমরা আশানুরুপ ফল পাই না।
- ইনকিউবেটরে ডিম বসানোর আগে খুব ভালো করে ইনকিউবেটর জীবানুমুক্ত করে নিতে হবে। নতুবা ইনকিউবেটরে থাকা জীবানু ডিমের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে এবং ভ্রুণকে মেরে ফেলবে।
- তাছারা উর্বর বীজ ডিম ইনকিউবেটরে বসানোর আগে উত্তমরুপে জীবানুমুক্ত করে নিতে হবে।তা না হলে এক ডিম হতে জীবানু অন্য ডিমে ছড়িয়ে পড়বে এভাবে জীবানু সমস্থ ডিমকেই আক্রান্ত করে ফেলবে এবং সকল ডিমই নষ্ট হয়ে যাবে।
- ইনকিউবেটর সঠিকভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপুন্য বিষয় হলো তাপমাত্রা। আবার এই তাপমাত্রা সেটারে ও হ্যাচারে আলাদা আলাদা রাখতে হয়। তাই ইনকিউবেটরে তাপমাত্রা অবশ্যই সঠিক মাত্রায় বজায় রাখতে হবেই। তা না হলে ডিম হতে বাচ্চা ফোটার কথা চিন্তা করাই সম্ভব নয়।
- ইনকিউবেটর সঠিকভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় যে বিষয়টা গুরুত্বপুন্য তা হলো আদ্রতা। আবার আদ্রতাও সেটারে ও হ্যাচারে আলাদা আলাদা রাখতে হয়। ডিম বসানোর প্রথম দিকে আদ্রতা কম রাখলেও শেষের দিকে আদ্রতা বেশি রাখতে হয়। নিচের লিংকে ক্লিক করে জেনে আসতে পারেন ইনকিউবেটরে তাপমাত্রা ও আদ্রতা কত রাখতে হয়।
- ইনকিউবেটরে ডিম বসানোর পর ৭তম দিনে ডিম ক্যান্ডেলিং করে যেসব ডিমে ভ্রুণ আসেনি বা নষ্ট সেসব ডিম বের করে দিতে হবে। ১৫তম দিনে একই কাজ পুনরায় করতে হবে। যেনো ইনকিউবেটরে কোন অনিষিক্ত বা নষ্ট ডিম না থাকে।
- ইনকিউবেটরে ডিম বসানোর পর দিনে কমপক্ষে ৪-৫ বার ডিম উলট-পালট করে দিত হবে। আর অটো ইনকিউবেটর হলে ২ ঘন্টা পরপর ডিম টার্নিং করা সেট করে দিতে হবে।
- ইনকিউবেটরে ডিমের উপড় সরাসরি প্রবল বেগে বাতাস প্রবাহিত করা যাবে না।
- হ্যাচিং টাইমে বার বার ইনকিউবেটরের দরজা জানালা খোলা যাবে না।
- হাত জীবানুমুক্ত না করে ইনকিউবেটরের মধ্যে প্রবেশ করানো যাবে না।
- ইনকিউবেটরের দরজা বেশি সময় ধরে খোলা রাখা যাবে না।
- ডিম হতে বাচ্চা বের হয়ে ঝরঝরে না হওয়া পর্যন্ত বাচ্চা বের করা যাবে না্।
- একই সাথে কোয়েল, হাস ও মুরগির ডিম বসানো যাবে না্।
- ডিমের সরু অংশ নিচের দিকে রাখতে হবে। ডিমের মোটা অংশ নিচের দিকে রাখা যাবে না।
- উল্টো ভাবে ডিম টার্নিং করা যাবে না।
- তাপমাত্রা ও আদ্রতা যথাযত ভাবে ঠিক রাখতেেই হবে।
আরো যা পড়তে পারেনঃ