মুরগির ঠান্ডালাগা রোগের কারন লক্ষন ও চিকিৎসা
মুরগির ঠান্ডালাগা রোগের কারন, লক্ষন ও চিকিৎসা পদ্ধতি।
যারা মুরগি পালন ব্যবসায় জরিত তাদের জন্য মুরগির ঠান্ডালাগা বিশেষত মুরগির সর্দি,ঠান্ডা,কাশি,কফ ও শ্বাসকষ্ট একটি কমন সমস্যা। সকল রোগের ক্ষেত্রেই রোগের প্রতিকারের চাইতে রোগ প্রতিরোধ করা সবচাইতে উত্তম। আমরা যদি সঠিকভাবে মুরগির জৈব নিরাপত্তা ও খামার ম্যানেজমেন্ট মেনে চলতে পারি তাহলে মুরগির সর্দি,ঠান্ডা,কাশি,কফ ও শ্বাসকষ্ট সহ ভািইরাস, ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃস্ট প্রায় সকল রোগ হতেই মুরগিকে নিরাপদে রাখতে পারবো।
মুরগির ঠান্ডালাগা রোগের কারন সমুহঃ
- কাঠের গুড়া সরাসরি লিটার হিসাবে ব্যবহার করা হলে ।
- লিটার অতিরিক্ত শুকনো থাকার দরুন ধুলা বালির পরিমান বেশি থাকার ফলে।
- লিটারে এ্যমোনিয়া গ্যাসের সৃস্টি হলে ।
- ফার্মে প্রবেশের আগে শরীরে, হাতে, পায়ে জীবানুনাশক স্প্রে না করলে ।
- আবহাওয়া অতিরিক্ত গরম হলে।
- কম জায়গায় অধিক মুরগি লালন পালন করলে।
- শীতে বা গরমে ফার্মে তাপমাত্রা সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে।
- মুরগীর গায়ে অথবা ফার্মে সরাসরি বাতাস প্রবেশ করলে।
- কোনভাবে শেডে তাপমাত্রার হের ফের হলে।
মুরগির ঠান্ডালাগা রোগের লক্ষন ঃ
- মুরগির মুখের ফোলা ভাব সহ নাক মুখ দিয়ে স্রাব দেখা যায় ।
- মুরগির হাঁচি ও কাশি দেখা দিবে।
- মুরগি মাথা নিচু করে ঝিম মেরে বসে থাকবে ।
- শ্বাস নালী আক্রান্ত হলে মুখ দিয়ে ঘড় ঘড় আওয়াজ বের হবে।
- মুরগির শ্বাস প্রশ্বাসে নিতে কষ্ট হবে ।
- কখন কখন পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া হতে পারে ।
- নাক দিয়ে তরল পদার্থ বের হতে দেখা যাবে।
- মুরগি খাদ্য গ্রহনে অনিহা দেখা দিবে।
- ডিম উৎপাদনের হার কমে যাবে।
- মুরগীর এই রোগ প্রতিকার না করলে সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হবে।
পোস্ট মর্টেম লক্ষনঃ
- শ্বাসনালীতে প্রদাহের চিহ্ন দেখা যায় ।
- সাইনাসের স্থানে শ্লেষ্মা পাওয়া যায়।
মুরগির ঠান্ডা লাগা রোগের প্রতিরোধঃ
- মুরগীর গায়ে সরাসরি বাতাস লাগতে দেওয়া যাবে না।
- রাতে ফার্মে বাহিরের ঠান্ডা বাতাস ঢুকতে দেয়া যাবে না।
- শেডের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা পর্যাপ্ত রাখতে হবে যেন এ্যমোনিয়া গ্যাস জমতে না পারে।
- জীবাণুমুক্ত পানি সরবরাহ করতে হবে।
- শীতে শেডের তাপমাত্রা সঠিক ভাবে বজায় রাখতে হবে।
- শেডের থেকে খারাপ গন্ধ দূর করতে হবে।
- সর্বদা মুরগির খামারে স্বাস্থ্যসম্মত অবস্থা বজায় রাখতে হবে।
- সময়মতো মুরগির সকল প্রকার টিকা প্রয়োগ করতে হবে।
মুরগির ঠান্ডা লাগা রোগের প্রতিকারঃ
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
- ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিকের পরামর্শ দিলে যথাযত ডোজটি মেনে চলতে হবে।
- রসুন বেটে পেস্ট করে পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
- আদা, রসুন ও তুলসিপাতা পেস্ট করে পানির সাথে মিশিয়ে (১ চামচ ১ লিটার পানি) খাওয়াতে পারেন।
- সর্বপরি জৈব নিরাপত্তা ও খামার ম্যানেজমেন্ট সঠিকভাবে মেনে চলুন।
আরো যা যা পড়তে পারেনঃ