চুল পড়া বন্ধ করার পরীক্ষিত প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায়।
চুল পড়া বন্ধ
করার পরীক্ষিত প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায়।
চুল ক্যারোটিন নামক একপ্রকার প্রোটিন দিয়ে তৈরি।চুলের ৯৭ ভাগ প্রোটিন ও ৩ ভাগ পানি।চুলের যে অংশটুকু আমরা দেখতে পাই তা অনুভুতিহীন মৃত কোষ।একটি চুল সাধারনত ২-৪ বছর পর্যন্ত বড় হতে থাকে।এরপর এদের বৃদ্ধি কমতে থাকে।একজন সুস্থ্য মানুষের মাথায় গড়ে এক থেকে দেড় লক্ষ চুল থাকে।একটি চুলের গড় আয়ু ২-৮ বছর হয়ে থাকে।তাই প্রতিদিনই কিছু না কিছু চুল ঝরে যায়।তবে প্রতিদিন ১০০-১৫০ টা চুল পড়া স্বাভাবিক।
সাধারণত ছত্রাকের সংক্রমন, খুশকি, এ্যন্ড্রোজেনিক হরমোন,
দুঃশ্চিন্তা, চুলে বিভিন্ন প্রসাধনির ব্যবহার, কিছু অসুখ যেমনঃ অ্যানিমিয়া, টাইফয়েড,
জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, ডায়াবেটিস ইত্যাদি কিছু কিছু ঔষধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া যেমনঃ জন্ম
নিয়ন্ত্রনের বড়ি, প্রেসারের ঔষধ, হরমোন, মানুষিক অসুস্থ্যতার ঔষধ ইত্যাদির কারনে চুল
ঝরে যেতে পারে।
অনেকেই জানতে
চায়- চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধের নাম, কেউ জানতে চায় চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম, কেউ
বা জানতে চায় চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিনের নাম আবার কেউ বা জানতে চায় চুল পড়া বন্ধ
করার খাবারের নাম কিন্তু আজ জানবো চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে যা
চুল পড়া বন্ধ করার পরীক্ষিত উপায়। মেয়েদের চুল পড়া বন্ধ করার জন্য এবং ছেলেদের চুল
পড়া বন্ধ করার জন্য এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে চুল পড়া রোধ করতে পারবেন।
চুল পড়া বন্ধ
করার জন্য আপনার লাগবে ৪-৫ টি জবা ফুল। ৪-৫ টি জবা ফুল এবং টি কাপের এক কাপ পানি নিয়ে
অল্প আঁচে চুলায় জাল করে জবা ফুল সিদ্ধ করে নিবেন। যেন জবা ফুলগুলো পানির সাথে ভালভাবে
মিশে একটি পিচ্ছিল্য দ্রবন তৈরি হয়। এবার এই পানি সহ জবা ফুলের দ্রবনটি ঠান্ডা করে
সমস্ত মাথায় তেল দেবার মত করে দিয়ে ২৫-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।এরপর মাথা শ্যাম্পু দিয়ে
পরিস্কার করে ফেলুন।প্রতি সপ্তাহে এটি পুনরায় করুন। সপ্তাহে অন্তত ২ দিন খাটি নারিকেল
তেলের সাথে লেবুর রস মিশ্রিত করে চুলে ব্যবহার করুন এবং সপ্তাহে ১ দিন মাথায় মেহেদি
পাতা পেস্ট করে ব্যবহার করুন তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনার চুল পড়া বন্ধ হওয়া সহ চুল আরো
সিল্কি, ঘন ও মজবুত হবে।
- চুল পড়া নিয়ে অতিরিক্ত দুঃশ্চিন্তা করবেন না।
- চুলে গরম পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
- কেমিক্যাল যুক্ত শ্যাম্পু দেওয়া হতে বিরত থাকুন।
যাদের কোনো রোগ-ব্যধির কারণে চুল পড়ে যাচ্ছে তারা অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে ব্যবস্থা গ্রহন করুন। আপনারা সবাই চুলের প্রতি যত্নশীল হোন।
আরো যা যা পড়তে পারেনঃ